বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্ত্রীর ছোটবোন সদ্য বিবাহিতা শ্যালিকাকে নিয়ে প্রভাষক দুুলাভাই উধাও হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (১৬ আগষ্ট) কিশোরপুর গ্রামে। স্ত্রী-সন্তানকে রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে দুলাভাই উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ওই দিন রাতে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।
পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর পূর্বে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামধন দলবাড়ির পাড় গ্রামের ফুল সরকারের পুত্র আনারুল ইসলাম (৩৫) এর সাথে একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর (নাটির খামার) গ্রামের মহিউদ্দিনের কন্যা লাইলী বেগমের বিবাহ হয়। ঘরসংসার করাকালে তাদের ঘরে একটি পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। সেই সুবাদে আনারুল ইসলাম শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো। এ সময় দুলাভাই শ্যালিকা ছালমা আক্তার রুমির (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এদিকে প্রায় দেড় মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা দালারপাড়া গ্রামের আবু তালেব ব্যাপারীর পুত্র রেজাউল করিম দুখুর সাথে ছালমা আক্তার রুমির বিবাহ হয়। এরপর গত এক সপ্তাহ পূর্বে ছালমা তার পিত্রালয়ে আসেন। সেখানে অবস্থান করা কালীন রোববার (১৬ আগষ্ট) বিকালে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে দুলাভাই তার বিবাহিতা শ্যালিকাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মহিউদ্দিন ওই দিন রাতে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। স্ত্রী-সন্তানকে রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে দুলাভাই উধাও হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও হওয়া আনারুল ইসলাম গুনাইগাছ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন।
মেয়ের পিতা মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকারসহ বড় জামাতা আনারুল ইসলাম আমার ছোট মেয়ে সদ্য বিবাহিত ছালমা আক্তার রুমিকে নিয়ে অসৎ উদেশ্যে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমার দুই মেয়ের সংসার জীবন অনিশ্চিত পড়েছে।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা উলিপুর থানার এসআই রাসেল জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।